ডাক জীবন বীমা সরকার কর্তৃক ১৮৮৪ সালে প্রবর্তিত একটি কল্যাণ মূলক প্রকল্প। প্রথমে ডাক বিভাগীয় কর্মচারীদের সুবিধার্থে ডাক জীবন বীমার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অতি অল্প মূল্যে তাদের পারিবারিক জীবনকে ভবিষ্যতের সকল রকম বিপদ-আপদ থেকে আর্থিক নিরাপওার ব্যবস্থা করা। পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে অন্যান্য সরকারি দপ্তরের এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলির কর্মচারিগণকেও এই পরিকল্পনার সুবিধা ভোগ করতে দেয়া হয়। বর্তমান এই পরিকল্পনার সুযোগ শুধু সরকারি বা আধা-সরকারি কর্মচারিগনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, যাদের নিয়মিত আয়ের সুনিশ্চিত ব্যবস্থা আছে, তারা সকলেই এই পরিকল্পনার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। ডাক জীবন বীমা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত ।
এ থেকে সরকার লাভ বা লোকসানের কোন অংশই গ্রহণ করেন না। এই তহবিলের সমস্ত টাকা সরকার আপন জিম্মায় রাখেন, শুধু মাএ বীমাকারীদের উপকারার্থে এর তহবিল ব্যবহার করা হয়। ইহা গ্রাহকদের ভবিষ্যত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করে। উপরন্তু ইহা মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকদের মধ্যে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উৎসাহ যুগীয়ে মূদ্রাস্ফীতি রোধে সহায়তা করে।
মুনাফা অর্জন করা ডাক জীবন বীমার উদ্দেশ্য নয়। তাই দেশের অন্যান্য জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ডাক জীবন বীমার প্রিমিয়ামের হার খুব কম। ইহা না লাভ, না লোকসান ভিওিতে সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়। এ জন্য উদ্বৃত্ত্ব অর্থের সবটুকু বোনাস হিসাবে গ্রাহকদের মধ্যে বন্টন করা হয়। উচ্চহারে বোনাস এবং নিম্নতম প্রিমিয়ামই ডাক জীবন বীমার বিশেষ আকর্ষণ। স্বল্প মূল্যের বীমা প্রদানের সুবিধা, পরিচালনায় মিতব্যয়িতা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ডাক জীবন বীমা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জন কল্যাণ মূলক বীমা প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত।
কারা ডাক জীবন বীমা করতে পারেন :
বি:দ্র: বিমান বাহিনীর সৈন্যগন ব্যতিরেকে অপরাপর ব্যক্তি যারা বিমান বিভাগে কাজ করেন যেমন, বিমান কোম্পানির ফ্লাইং ক্রু ইত্যাদি, ডাক বিভাগে তাদের বীমা গ্রহণ করা হয় না। যারা এমন কোন কাজে নিয়োজিত আছেন, যাদের অতিমাত্রায় জীবনাশংকা আছে, জেনারেল ম্যানেজার তাদের বীমা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।